Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
বাজনাব ইউনিয়ন পরিষদ
বিস্তারিত

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ন। প্রায় ২ শতাধিক বছর পূর্বে এ গোড়াপত্তন। বৃটিশদের আগমনের পূর্বে এ দেশে স্থানীয় শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হতো পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পঞ্চায়েত বিচারকার্য সম্পাদনসহ স্থানীয় শান্তি শৃংখলার দায়িত্ব পালন করতো। সময়ের বিবের্তনে বিভিন্ন পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদে রূপ  লাভ করেছে। ১৯৭৩ সালে ইউনিয়ন পঞ্চায়েতের নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ রাখা হয়। প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদকে ৩টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ জন করে ৯ জন নির্বাচিত সদস্য এবং সমস্ত  ইউনিয়নে জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে একজন চেয়ারম্যান এবং ১জন ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়। সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের জন্য স্থানীয় সরকার  প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রনের মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যকাল ৫ বছর। ১ জন নির্বচীত চেয়ারম্যান  এবং প্রতি ওয়ার্ড ৩টি ইউনিট গঠত হয়ে ৩জন করে মোট ৯নং জন নির্বাচিত সদস্য  এবং প্রতি ওয়ার্ড থেকে ১ জন করে ৩ জন মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে মোট ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। তারই মধ্যে বেলাব উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নটি আনুমানিক ১৯৭৩সালের ১২ জানুয়ারি ৮টি গ্রাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। বাজনাব ইউনিয়নটি বেলাব উপজেলার পাশ্চিমে অবস্থিত। এই ইউনিয়নটি ১৩ বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে গঠিত। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে আমলাব ইউনিয়ন, পূর্বে বেলাব উপজেলার বেলাব ইউনিয়ন, উত্তরে পাটুলী ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে মনোহরদী উপজেলার চুলা ইউনিয়ন অবস্থিত।

বেলাব উপজেলা হতে প্রায় ৪ কিঃ মিঃ পশ্চিম দিকে বাজনাব ইউনিয়ন পরিষদ অফিস অবস্থিত। ২০০৩ সনে ৭০ শতাংশ ভুমির উপর ১২ কক্ষ বিশিষ্ট নিজস্ব ইউনিয়ন পরিষদ কমপেক্স ববন নির্মান করা হয়েছে। এই ভবনের একটি কক্ষে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র অবস্থিত তাছাড়া একটি কক্ষে বাজনাব ইউনিয়ন ভূমি অফিসও অবস্থিত, অন্যান্য কক্ষে কৃসি, প্রানীসম্পদ ও একটি কক্ষে পোষ্ট অফিসের কাজ চলিতেছে। জেলা ও উপজেলা সদরের সাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। ইউনিয়নের অভ্যন্তরে রাস্তাসমূহ অধিকাংশ পাকা এবং কিছু অংশে ইটের সলিং ও কাঁচা। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রসার না ঘটলেও এলাকায় কৃষি কাজের সমৃদ্ধি রয়েছে। এখানে শিক্ষার হার ভাল।